مؤسسة وقفية تطوعية تعنى بشؤون المخطوط الإسلامي
A NON-profit institution for critical studies on Islamic manuscripts

শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবী রহ.-এর দরসী টীকা সম্বলিত সহীহ বুখারীর একটি নুসখা নিয়ে আলাপ: কয়েকটি বিনীত পর্যবেক্ষণ

🖊আবদুল কারীম আশরাফ

 

পাটনার খোদাবখশ কুতুবখানায় সংরক্ষিত সহীহ বুখারীর একটি প্রসিদ্ধ নুসখা নিয়ে গতকাল বিকেলে (১৮ জানুয়ারি, ২০২৫) অনলাইনে একজন পরিচিত ও শ্রদ্ধেয় আলেম, লেখক ও গবেষক একটি পোস্ট করেন। পরিচিত কয়েকজন আহলে ইলম পোস্টের বিবরণটি পাঠিয়ে বিষয়টি ওয়াযাহাত করার অনুরোধ জানান। যেহেতু বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে, তাই কয়েকটি পর্যবেক্ষণ দ্রুত পেশ করা জরুরি মনে হলো; কারণ পোস্টকারী মুহতারাম শাইখ এ বিষয়ে আরো লিখবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা আশা করব, পরবর্তী লেখাগুলো আরো জিম্মাদারি ও ইহতিয়াতের সাথে লেখা হবে। আল্লাহপাক উনার খেদমতগুলো পরিপূর্ণরূপে কবুল করুন, উম্মতের জন্য উপকারী বানান। আমীন।

 

পোস্টের ভাষ্য:

“প্রায় ৩০০ বছর ধরে সারা বিশ্বের বিদগ্ধ আলেমগণ একটা কিতাব সন্ধান করছেন। শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবী রহ. এর বোখারী শরীফের তাকরির ও তালিক। যার অনুলিখন  করেছেন তার ছাত্র মুহাম্মদ বিন পীর মুহাম্মদ রহ.।

শাহ ওয়ালিউল্লাহ রহ. স্বহস্তে ১১৬০ হিজরীর মহররম মাসে এই কিতাবে নিজের সনদসহ স্বাক্ষর করেন এবং এর ইজাজত প্রদান করেন। তাঁর সাহেবজাদা শাহ মুহাম্মদ রফিউদ্দীন রহ. লেখেন, এই ইজাজত যে মহান পিতা শাহ সাহেব রহ. এর নিজ হাতে লেখা, তাতে কোনো দ্বিধা নেই,  সন্দেহ নেই। (هذا خط الوالد الأجل بدون شك ولا ريب)

কিতাবটি কেন জনসমক্ষে এলো না, সেই প্রশ্নে আফসোস করেছেন অসংখ্য উলামা। বিশেষত আরব-আলেমগণ। ড. শাইখ  ইজ্জুদ্দীন  জুগাইবাহ, ড. শাইখ আতিকুর  রহমান কাসেমী, ড. শায়খ ইয়াসির মাজহার সিদ্দিকীসহ বহু আলেম এর পেছনে বছরের পর বছর ধরে গবেষণা করেছেন। কিন্তু কিতাবটি আবিষ্কার ও সম্পাদনা করে সামনে আনা সম্ভব হয়নি।

অবশেষে সেই সৌভাগ্য হতে যাচ্ছে… এর। প্রতিষ্ঠানটি যে সব মহান লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়, এর একটি ছিলো তুরাস নিয়ে কাজ করা।

আমাদের সিলসিলাতুত তুরাস এর প্রথম কাজটি হতে যাচ্ছে আত তালিকাতুন নাদিরাহ আলা সহীহিল বোখারী লিশ শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবী রহ.।

আরবী ভাষায় ৭ খণ্ডে কিতাবটি প্রকাশিত হবে, ইন শা আল্লাহ। জর্ডান, পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ থেকে একযোগে তা প্রকাশিত হবে।…”

(ফেসবুক থেকে কপি করা হয়েছে, রাত ১০টা, ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫। অপ্রাসঙ্গিক কয়েকটি বাক্য বাদ দেয়া হয়েছে- “…” চিহ্নিত)

কমেন্টে আরো লিখেন: “কিতাবটি আমরা কীভাবে আবিষ্কার করলাম, এটিই যে সেই কিতাব, এর সত্যায়ন এবং কিতাবের বিশেষত্ব ও গুরুত্ব নিয়ে দীর্ঘ আর্টিকেল লিখছি, ইন শা আল্লাহ।”

 

পর্যবেক্ষণ:

এমন একটি নাদের নুসখার প্রতি ইহতিমাম ও খেদমতের পরিকল্পনার কথা জেনে একজন ক্ষুদ্র তালিবে ইলম হিসেবে অত্যন্ত আনন্দিত হই। তবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কিতাব ও ফিহরিস দেখে প্রতীয়মান হয় যে, পোস্টে কিছু বিষয়ে ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে এবং অতিরঞ্জন করা হয়েছে।

 

প্রথম বিষয়:

পোস্টকারী শাইখ লিখেন, “এটি শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবী রহ.-এর বোখারী শরীফের তাকরির ও তালিক।” আরো বিভিন্ন জায়গায় “কিতাবটি” বা “এই কিতাব” ইত্যাদি লিখেছেন।

উপস্থাপনা থেকে মনে হয়, এটি শাহ সাহেবের আলাদা কোনো তাকরীরসমগ্র! অথচ বিষয় হলো, এটি ‘সহীহ বুখারী’র একটি পরিচিত নুসখা, যা পাটনার খোদাবখশ লাইব্রেরীতে রয়েছে। খোদাবখশের সংক্ষিপ্ত হ্যান্ডলিস্টের ৪৪২ ও ৪৪৩ নম্বরে, এবং বিস্তারিত ক্যাটালগের ১৩৩ ও ১৩৪ নম্বরে এ নুসখার প্রাথমিক বিবরণ উল্লেখ করা হয়েছে। উভয় ফিহরিসেই এটিকে সহীহ বুখারীর নুসখা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ড. আতিকুর রহমান সাহেব রহ., যিনি দীর্ঘকাল খোদাবখশ লাইব্রেরীর বিশেষ দায়িত্বশীল হিসেবে কর্তব্যরত ছিলেন এবং এ নুসখা নিয়ে উনার স্বতন্ত্র গবেষণাও রয়েছে—তিনিও এটিকে সহীহ বুখারীর একটি নুসখা হিসেবেই উল্লেখ করেছেন।

বিভিন্ন কারণে নুসখাটি আলাদা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এ নুসখা সামনে রেখে দেহলবী রহ. বুখারীর দরস দিয়েছেন। শাহ সাহেবের তত্ত্বাবধানে নুসখাটি পাঠ করা হয়েছে। এর নাসেখ হলেন শাহ সাহেবের শাগরিদ মুহাম্মদ বিন পীর মুহাম্মদ রহ.। তিনি শাহ সাহেবের দরসের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফায়েদা নুসখার হাশিয়ায় নোট করেছেন। এ নোটগুলোই আলোচিত পোস্টের উদ্দেশ্য।

নুসখাটির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, এর শেষে শাহ সাহেবের নিজ হাতে লেখা ইজাযতনামা রয়েছে, যার সত্যায়ন করেছেন শাহ সাহেবের ছেলে শাহ রফিউদ্দীন রহ.। এছাড়াও আরও কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ড. আতিকুর রহমান সাহেবের গবেষণায় বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।

তো, যে তাকরির বা তালিকের কথা বলা হচ্ছে, তা হলো সহীহ বুখারীর উক্ত নুসখার হাশিয়ায় লিপিবদ্ধ কিছু সংক্ষিপ্ত ফাওয়াইদ/ তালীকাত/ হাওয়াশি/ টীকা/ নোট। মোট চার খন্ডের নুসখায় প্রায় ৭৬ স্থানে শাহ সাহেবের বরাতে এমন সংক্ষিপ্ত টীকা রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে নাসেখ কর্তৃক বিভিন্ন ধরনের নোট বা উদ্ধৃতি তো আছেই, যা এখানে আলোচ্য বিষয় নয়। তো সরাসরি শাহ সাহেবের ‘ফায়েদা’গুলো যে আলাদা গুরুত্বের দাবী রাখে, তা জানা বিষয়। তবে এর অর্থ এই না যে, আলোচিত নুসখাটি শাহ সাহেবের স্বতন্ত্র কোনো কিতাব!

 

দ্বিতীয় বিষয়:

পোস্টকারী শাইখ শুরুতেই লিখেন, “প্রায় ৩০০ বছর ধরে সারা বিশ্বের বিদগ্ধ আলেমগণ একটা কিতাব সন্ধান করছেন…।” পরে লিখেন, “ড. শাইখ  ইজ্জুদ্দীন  জুগাইবাহ, ড. শাইখ আতিকুর  রহমান কাসেমী, ড. শায়খ ইয়াসির (শুদ্ধ: ইয়াসীন) মাজহার সিদ্দিকীসহ বহু আলেম এর পেছনে বছরের পর বছর ধরে গবেষণা করেছেন। কিন্তু কিতাবটি আবিষ্কার ও সম্পাদনা করে সামনে আনা সম্ভব হয়নি।” কমেন্টে লিখেন, “কিতাবটি আমরা কীভাবে আবিষ্কার করলাম, এটিই যে সেই কিতাব, এর সত্যায়ন এবং কিতাবের বিশেষত্ব ও গুরুত্ব নিয়ে দীর্ঘ আর্টিকেল লিখছি, ইন শা আল্লাহ।”

উপস্থাপনা থেকে মনে হয়, কিতাবটি (?) এ যাবৎ আবিষ্কারই হয়নি! অথচ এ নুসখার কথা কমপক্ষে মাখতুতাতের ইলম যারা রাখেন, তাদের শুরু থেকেই জানা ছিল। ভেবে দেখুন, বিশ শতকের শুরুতে (বা তার কিছু আগে পরে) প্রণীত খোদাবখশের বহুল প্রচলিত বিভিন্ন ফিহরিসেই নুসখার আলোচনা এসেছে। আর “প্রায় ৩০০ বছর ধরে সারা বিশ্বের বিদগ্ধ আলেমগণ… সন্ধান করছেন” বলাটা তো চরম হাস্যকর। তার মানে কি শাহ সাহেবের শাগরিদ বা সাহেবযাদাগণও এটির সন্ধান পাননি? অথচ এ নুসখার বিভিন্ন জায়গায় লিখিত ‘কুয়ুদ’ ও ‘তাওয়ারিখ’ থেকেই বুঝে আসে যে, বিভিন্ন সময় এর বিভিন্ন ধরনের খেদমত হয়েছে। যেমন, ১১৮৪ হিজরীতে বাদশাহ শাহ আলমের নির্দেশে এ নুসখা পুনর্বার তাশকীল ও তাসহীহ করা হয় (যার বিবরণ ড. আতিকুর রহমান সহ অন্যরাও উল্লেখ করেছেন)। এ পর্যন্ত কত আলেম যে এ নুসখার যিয়ারত করেছেন!

হ্যাঁ, শাহ সাহেবের তালীকগুলোর আলাদা খেদমত হয়েছে আরো পরে। ড. আতিকুর রহমান সাহেব তো এ বিষয়ে স্বতন্ত্র কিতাব লিখেছেন, যা (شاہ ولی اللہ دہلوی کی تحقیقات حدیث: صحیح بخاری کے ایک قلمی نسخے کی روشنی میں) নামে শাহ ওয়ালিউল্লাহ একাডেমী (ইউপি) থেকে ২০০৭ সনের ডিসেম্বরে ছেপে এসেছে। আলোচিত সহীহ বুখারীর নুসখাটির হাশিয়ায় উল্লেখিত শাহ সাহেবের ফাওয়াইদ, যার সংখ্যা প্রায় ৭৬টি- সবগুলো ড. আতিকুর রহমান উক্ত রচনায় বিস্তারিত সংকলন করেছেন।

জানা জিনিস (মূল নুসখা) তো “আবিষ্কারের” প্রশ্নই আসে না, শাহ সাহেবের যে নোটগুলো বাকি ছিল, তাও আতীকুর রহমান সাহেব সবিস্তারে প্রকাশ করলেন, তর্জমা করলেন, পর্যালোচনা করলেন। এই যে একজনের এতগুলো অবদান ও খেদমত—এগুলোকে যথাযথভাবে উপস্থাপন না করলে তো খোদ নুসখার খেদমতের ইতিহাসকেই খাটো করা হয়।

বলাবাহুল্য, শাহ সাহেবের নোটগুলোর আরো বিভিন্নভাবে খেদমতের সুযোগ আছে; কিন্তু যে কাজ ইতিপূর্বে হয়ে গেছে (ইত্তিলা, তাওসীক, নাশর, দিরাসা, তর্জমা এবং আংশিক সম্পাদনা)—তা কেন নজরআন্দায করা হবে?!

 

তৃতীয় বিষয়:

পোস্টকারী শাইখ কমেন্টে ড. আতিকুর রহমান সাহেবের কিতাবটি সম্পর্কে লিখেন, “শাহ সাহেব রহ. এর তালিকের উপর সবচেয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেছেন শায়খ আতিকুর রহমান কাসেমী রহ… মানে, তিনি শাহ সাহেবের তালিকটির পরিচিতি পেশ করেছেন এই গ্রন্থে। শাহ সাহেবের তালিকটি কোথাও প্রকাশিত হয়নি। এটা আতিকুল্লাহ কাসেমী রহ.ও (শুদ্ধ: আতীকুর রহমান) উল্লেখ করেছেন। তালিকটি সম্পাদিত হয়ে প্রকাশিত হওয়া জরুরী, সেটাও তিনি লিখেছেন।” (কপি করা হয়েছে, রাত ১১.৩০টা, ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫)

এখানে ড. আতিকুর রহমান সাহেবের কিতাবটিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কারণ ড. আতিকুর রহমান সাহেব উক্ত কিতাবেই শাহ সাহেবের আলোচিত প্রায় সবগুলো তালীক (৭৬টি) সংকলন করেছেন। তিনি সবিস্তারে কোন বাবের কোন হাদীস প্রসঙ্গে তালীক করা হয়েছে, প্রথমে তা উল্লেখ করেন, অতঃপর শাহ সাহেবের বরাতে উদ্ধৃত তালীকের মূল আরবি ইবারত, উর্দু অনুবাদসহ উল্লেখ করেন। তালীকগুলো আলাদা প্রকাশ করার জন্যই ড. সাহেব কিতাবটি রচনা করেছেন; শুধু পরিচিতি পেশ করার জন্য নয়!

তাহলে তালীকগুলো ইতিপূর্বে “কোথাও প্রকাশিত হয়নি”—এর কী অর্থ?! সর্বোচ্চ বলা যেত- ইতিপূর্বে একটি গবেষণায় তালীকগুলো প্রকাশিত হয়েছে; তবে বিভিন্নভাবে এর ওপর আরো খেদমত হওয়া দরকার… সর্বোপরি নতুন খেদমত তো বড় আনন্দের বিষয়; তবে তখনই এটি ফলপ্রসু হবে, যদি ইলমী মান রক্ষা করা হয়, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মুতাখাসসিস এর ওপর কাজ করেন, অন্যান্য সকল স্ট্যান্ডার্ড রক্ষিত থাকে…

 

চতুর্থ বিষয়:

পোস্টে শাইখ লিখেন, “শাহ ওয়ালিউল্লাহ রহ. স্বহস্তে ১১৬০ হিজরীর মহররম মাসে এই কিতাবে নিজের সনদসহ স্বাক্ষর করেন এবং এর ইজাজত প্রদান করেন।”

অথচ বাস্তবতা হলো, শাহ সাহেবের নিজের সনদসহ লিখিত সহীহ বুখারীর ইজাযতনামাটি ১১৬০ হিজরীর মুহাররম মাসের নয়; বরং সেটি ১১৫৯ হিজরীর শাওয়াল মাসের ২৩ তারিখ রোজ মঙ্গলবারে লেখা।

মূলত সহীহ বুখারীর এ নুসখার শেষে দুটি ইজাযতনামা রয়েছে। শাহ সাহেব প্রথম ইজাযতনামায় সহীহ বুখারী, কুতুবে সিত্তাহর অন্য কিতাবগুলো, মুআত্তায়ে মালেক, মুসনাদে দারেমী ও মিশকাতুল মাসাবিহ সহ সকল মারওইয়্যাতের ইজাযত প্রদান করেছেন, এবং নিজের সনদ উল্লেখ করেছেন। এ ইজাযতনামাটি বিভিন্ন কারণে বিশেষ গুরুত্ব রাখে। এটি লেখার তারিখ, ১১৫৯ হিজরীর শাওয়াল মাসের ২৩ তারিখ রোজ মঙ্গলবার।

সহীহ বুখারীর এ নুসখার শেষে আরেকটি ইজাযতনামা রয়েছে, যেটি লেখা হয়েছে ১১৬০ হিজরীর মুহাররম মাসের প্রথমাংশে, রোজ জুমাবারে। এটি সহীহ বুখারীর ইজাযতনামা নয়; বরং শাহ সাহেবের প্রসিদ্ধ কিতাব (الفضل المبين في المسلسل من حديث النبي الأمين) এর ইজাযতনামা। এটি সংক্ষিপ্ত একটি ইজাযতনামা। এতে শাহ সাহেব নিজের কোনো সনদ উল্লেখ করেননি।

 

পঞ্চম বিষয়:

পোস্টে শাইখ আরও লিখেন, “আরবী ভাষায় ৭ খণ্ডে কিতাবটি প্রকাশিত হবে, ইন শা আল্লাহ।”

ওপরের আলোচনার আলোকে ভেবে দেখুন, বিষয়টি বোধগম্য কিনা; কারণ আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, শাহ সাহেবের বরাতে নুসখার হাশিয়ায় লিপিবদ্ধ তালীকের সংখ্যা প্রায় ৭৬টি। আরো ভেবে দেখুন, ড. আতিকুর রহমান সাহেবের উপরোল্লিখিত কিতাবের পৃষ্ঠাসংখ্যা মাত্র ২০৮, যার প্রথম ৪৬ পৃষ্ঠা হলো ভূমিকা ও নুসখার দিরাসা, বাকি ১৬২ পৃষ্ঠায় শাহ সাহেবের তাহকীক বা তালীকগুলো মূল আরবী এবং উর্দু অনুবাদসহ উল্লেখ করা হয়েছে। তো এ সংক্ষিপ্ত তালীকগুলো ৭ খণ্ডে কীভাবে প্রকাশিত হবে?! বিষয়টি এজন্যও উদ্বেগজনক মনে হয়েছে যে, বর্তমানে ‘বাজারি তাহকীকগুলোর’ মধ্যে ব্যাপকভাবে কিতাবের ‘অপ্রয়োজনীয় তাযখীমের’ বিষয়টি দেখা যায়; সকল আহলে ফনের নিকট এটি একটি নিন্দনীয় বিষয়। তাই এক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি।

সার্বিকভাবেই আমার কাছে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ইলমী দায়িত্বশীলতা ও সতর্কতার অভাব রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আশা করছি, সংশ্লিষ্ট মুহতারামগণ বিষয়গুলোকে আরো গুরুত্ব ও সংবেদনশীলতার সাথে বিবেচনা করবেন। আল্লাহপাক তাওফীকদাতা।

 

রবিবার সকাল, ১৮ই রজব, ১৪৪৬/ ১৯ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রি.। মুআসসাসাতুল মাআরিফ, চট্টগ্রাম।

প্রাসঙ্গিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ

Uncategorized

“সহীহুল আসার” বা “তাসহীহু মাআনিল আসার” নামে পরিচিত একটি মাখতুতার বাস্তবতা

الحمدُ لله وسلامٌ على عباده الذين اصطفى، وبعد: পাটনার প্রসিদ্ধ খোদাবখশ কুতবখানার একটি মাখতুতা “সহীহুল আসার” বা “তাসহীহু মাআনিল আসার” নামে পরিচিতি পায়। খোদ কুতবখানার

a book shelf filled with lots of books
ঘোষণা

একটি ইলমী লাইব্রেরি প্রকল্প ও ফান্ডিং-এর সু্যোগ

‘মুআসসাসাতুল মাআরিফ’ ইসলামী পাণ্ডুলিপি গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান অপ্রকাশিত প্রাচীন ইসলামী পাণ্ডুলিপি ও কিতাবাদির প্রকাশনা, এবং সার্বিকভাবে উম্মাহর সংকট সমাধানে ইলমী