الحمدُ لله وسلامٌ على عباده الذين اصطفى، وبعد:
পাটনার প্রসিদ্ধ খোদাবখশ কুতবখানার একটি মাখতুতা “সহীহুল আসার” বা “তাসহীহু মাআনিল আসার” নামে পরিচিতি পায়। খোদ কুতবখানার হ্যান্ডলিস্টে একে ইমাম তহাবী রহ.-এর রচনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। একই কুতবখানার ক্যাটালগে একে “শরহু মাআনিল আসার” (তহাবী শরীফ)-এর কোনো শরাহ বা ব্যাখ্যাগ্রন্থ হিসেবে পরিচিত করানো হয়। মাকতাবাগুলোর ফিহরিস প্রস্তুতকারীদের এমন ভুল অহরহ হয়। পরে আহলে ইলমগণ কিতাব মুরাজাআ ও নিরীক্ষণ করে বিষয়গুলোর হাকীকত বের করেন।
উপরোক্ত ফিহরিসের ভুলটি নকল করেন ব্রুকলমান। এরপর ব্যাপকভাবে সংশ্লিষ্ট কিতাবাদি, অন্যান্য ফিহরিস ও ডাটাবেইস ইত্যাদিতে এই ভুল ছড়িয়ে পড়ে। আরো যেহেতু মাখতুতাটির মাইক্রাফিলম খুবই অস্পষ্ট, শুরু বা শেষেও কোনো বিবরণ নেই, এছাড়াও এটি কোনো পূর্ণ কিতাবও নয়… তাই ভুলটি সহজে বের করা সম্ভবপর হয়নি।
কয়েকদিন আগে একজন আহলে ইলমের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রশ্ন আসলে বিষয়টি মুরাজাআ করার সুযোগ হয়। বিস্তারিত নিরীক্ষণ করে দেখা যায়, এটি মূলত “শরহু মাঅনিল আসারের” একটি তালখীস, যা রচনা করেন প্রখ্যাত মালেকী ফকীহ আবুল ওয়ালীদ ইবনু রুশদ রহ. (৫২০)। আপন জায়গায় তালখীসটিও বেশ গুরুত্বের দাবী রাখে।
এই নিরীক্ষণের কিছু বিবরণ, সংশ্লিষ্ট কিছু ফায়েদা ও ইবরত ইত্যাদি নিয়ে নিম্নের লেখা (লিঙ্ক দ্রষ্টব্য)। বিশেষায়িত ইলমী পর্যবেক্ষণ হিসেবে এটি আরবীতেই লেখা হয়েছে।
আলহামদুল্লিাহ, লেখাটি আন্তর্জাতিক ইলমী অঙ্গনে পরিচিত বরেণ্য কয়েকজন আহলে ইলম দেখেছেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। শোকরের বিষয় হলো, এই লেখার ‘মুলাহাযা’- প্রসিদ্ধ দুটি মাখতুতাতের প্রতিষ্ঠানে (দুবাইয়ের জুমআতুল মাজিদ সেন্টার ও কায়রোর আর-রক্কুল মানশুর ফাইন্ডেশন) গৃহীতও হয়েছে এবং তারা সে অনুযায়ী সংরক্ষিত মাইক্রোফিলমের কপির বিবরণী পরিবর্তন করেছেন বা করার আশ্বাস দিয়েছেন। শারজাহ দারুল মাখতুতাতের দায়িত্বশীল ড. মুহাম্মদ আল-কাফ নিজ টেলিগ্রাম চ্যানেলে লেখাটি প্রকাশ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করলে আমরা এতে ফায়েদার আশা করি ও সম্মত হই। আলাদাভাবে আপলোড দেয়ার পরিবর্তে তার চ্যানেলের সংশ্লিষ্ট লিঙ্ক এখানে শেয়ার করা হলো। এখান থেকে ফাইলটি ডাউনলোড করা যাবে-
https://t.me/mohammedomaralkaf/776
আল্লাহপাক কবুলের মালিক, তিনি ছোট কাজকেও অনেক উপকারী বানাতে পারেন। আল্লাহপাক এই লেখা সহ অন্য সব মেহনতকে কবুল করুন, সংশ্লিষ্ট সকলকে উত্তম জাযা দান করুন।
(ছবি: আলোচিত মাখতুতার ২য় ওয়ারাকা, নমুনা)
– মুহাম্মদ তাকি