‘আল-মাআরিফ ফাউন্ডেশন’ ইসলামী পাণ্ডুলিপি গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত দেশের প্রথম বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান অপ্রকাশিত প্রাচীন ইসলামী পাণ্ডুলিপি ও কিতাবাদির প্র্রকাশনা, এবং সার্বিকভাবে উম্মাহর সংকট সমাধানে ইলমী গবেষণার ‘ওয়াজিব’ পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। দেখুন: https://almaarifweb.com/।
প্রতিষ্ঠানটি পরিপূর্ণ ‘ওয়াকফ’ভিত্তিক (সাধারণ মুসলমানদের ওয়াকফ ও অনুদানভিত্তিক)। এখনো পর্যন্ত এর কোনো ফান্ডিং সার্কেল নেই। একটি লাইব্রেরি ছাড়া কাজ না চললেও এখনো মৌলিক অনেক প্রয়োজন বাকি থাকায় লাইব্রেরির জন্য ফান্ড সংগ্রহের ফিকিরও করা হয়নি।
ইতোমধ্যে এই প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ মুরুব্বী, প্রখ্যাত সিরিয়ান মুহাক্কিক শায়খ আব্দুল হাকীম আনীস সাহেবের মাধ্যমে দুবাইয়ে প্রতিষ্ঠানের জন্য “প্রায় ৯০ কার্টুন” কিতাব হাদিয়া/ওয়াকফের প্রস্তাব আসে। আল্লাহপাকের বিশেষ রহমতে, প্রতিষ্ঠানের বহুল প্রতীক্ষিত ‘বিশেষায়িত ইলমী লাইব্রেরি’র ভিত্তি স্থাপনের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক সুযোগ। তবে দুবাই থেকে বাংলাদেশে কিতাবগুলো শিপিং করার মূল্য আসছে, “আনুমানিক কমপক্ষে ৩ লক্ষ টাকা” (সরেজমিনে গিয়ে বিলের ফিক্সড পরিমাণ নিশ্চিত করা যাবে, তবে তা উপরোক্তে পরিমাণের চেয়ে বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক)।
একসাথে শিপিং করতে না পারলে কার্টুনগুলো স্থানান্তর করা দুরূহ ব্যাপার হওয়ায় হাদিয়াদাতা হয়তো অন্য খাতে বন্টন করতে বাধ্য হবেন। কিতাবগুলোর মূল্যমান ও অতীব প্রয়োজনের দিকে লক্ষ করে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ কিতাবগুলো রিসিভ করে আগামী সপ্তাহেই শিপিং করার উদ্যোগ নিয়েছেন এবং এজন্য ফান্ড সংগ্রহের চেষ্টা করছেন।
উল্লেখ্য, সদাকায়ে জারিয়ার প্রকারগুলোর মাঝে ইলমের জন্য ওয়াকফ ও সদাকার ফযীলতই ভিন্ন। বিশেষত তা যদি উম্মতের ‘খাস ইলমী প্রয়োজন’ পূরণের জন্য হয়। আল্লাহপাক আমাদেরকে ‘সাদাকায়ে জারিয়া’র এই দুর্লভ সুযোগকে কাজে লাগানোর তাওফীক দান করুন। আমীন।
বি.দ্র.- এ খাতে প্রদত্ত যেকোনো অনুদান প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরির জন্য ওয়াকফ ও সাধারণ সদাকা গণ্য হবে। এটি যাকাতের খাত নয়, তাই যাকাতের অর্থ দেয়ার সুযোগ নেই। অনুদানের অর্থ নিম্নোক্ত একাউন্টে পাঠানো হবে। রেফারেন্সে Maarif লিখে দিতে হবে, অথবা ফোনে যোগাযোগ করে জানাতে হবে, অনুদানটি কোন প্রকল্পের জন্য।
Account No: 20501-24020-54128-15
AC holder name: Mohammad Taqi
Islami Bank Bangladesh Ltd. Anderkilla Branch, Chattogram, Bangladesh